স্প্যাম এবং অবাঞ্ছিত মেসেজ সম্পর্কে

আমাদের ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এমন একটি নিরাপদ জায়গা তৈরি করার বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। WhatsApp-এ পাঠানো হতে পারে এমন কোনও স্প্যাম বা অবাঞ্ছিত মেসেজ কমানোর জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।
তবে, স্বাভাবিক এসএমএস বা ফোন কলের মতই, অন্যান্য WhatsApp ব্যবহারকারী যাদের কাছে আপনার ফোন নম্বর আছে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনার পরিচিতিতে থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে।
এইসব লোকজন ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য অথবা ফাঁদে ফেলে আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে মেসেজ পাঠাতে পারেন।
অবাঞ্ছিত মেসেজ দেখতে কেমন
এমন কিছু সূত্র রয়েছে যার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনি কোনও সন্দেহজনক মেসেজ পেয়েছেন কি না অথবা প্রেরককে বিশ্বাস করা যায় না। এইসব লক্ষণীয় বিষয়ে নজর রাখুন:
  • অবাঞ্ছিত মেসেজে বানান বা ব্যাকরণের ভুল থাকবে
  • আপনাকে লিঙ্কে ট্যাপ করতে অথবা লিঙ্কের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য সক্রিয় করতে বলা হবে
  • আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বলা হবে, যেমন ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর, জন্মদিনের তারিখ, পাসওয়ার্ড
  • আপনাকে মেসেজটি ফরোয়ার্ড করতে বলা হবে
  • WhatsApp ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পেমেন্ট করতে বলবে
মনে রাখবেন, WhatsApp একটি বিনামূল্যের অ্যাপ এবং এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে না।
অবাঞ্ছিত মেসেজের বিষয়ে করণীয়
যদি কোনও মেসেজ আপনার কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয় অথবা বিশ্বাস করা কঠিন হয়, তাহলে সেটিতে ট্যাপ করবেন না, শেয়ার বা ফরোয়ার্ডও করবেন না। আপনি এই ধরনের মেসেজ পেলে, এটির বিষয়ে রিপোর্ট করে প্রেরককে ব্লক করে দিন এবং মেসেজটি বাদ দিন।
এছাড়াও মেসেজটি সন্দেহজনক মনে হলে আপনি পরিচিতিকে বিষয়টি জানাতে পারেন এবং কীভাবে দায়িত্বশীলভাবে WhatsApp ব্যবহার করতে হয় তা বোঝাতে পারেন।
মেসেজের বিষয়টি সত্যিই কি না এ ব্যাপারে আপনি যদি নিশ্চিত না হন বা আপনার পাওয়া মেসেজটি কে লিখেছেন তা না জানেন, তাহলে সেরা পদক্ষেপ হিসেবে, আপনি এটি ফরোয়ার্ড করবেন না।
সংশ্লিষ্ট রিসোর্স:
এখানে কি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন?
হ্যাঁ
না